কুঁচকির হার্নিয়া হল একটি অবস্থা যেখানে পেটের অভ্যন্তরীণ অংশ (যেমন অন্ত্র) কুঁচকির পেশীর দুর্বল স্থান দিয়ে ফুলে ওঠে। এর ফলে কুঁচকিতে একটি ফোলা বা পিণ্ড দেখা দিতে পারে, যা সাধারণত দাঁড়ানো বা চাপ দেওয়ার সময় বড় হয় এবং শুয়ে থাকলে ছোট হয়ে যায় বা অদৃশ্য হয়ে যায়। এর সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যথা, অস্বস্তি বা ভারি অনুভব করা, যা বিশেষ করে কাশি, ব্যায়াম বা মলত্যাগের সময় বেড়ে যায়।
লক্ষণ
- কুঁচকিতে ফোলা বা পিণ্ড: এটি সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ, যা দাঁড়ানো বা ভারী জিনিস তোলার সময় স্পষ্ট হয়।
- ব্যথা বা অস্বস্তি: কুঁচকিতে চাপ, টান বা জ্বালাপোড়ার অনুভূতি হতে পারে।
- অণ্ডকোষে ব্যথা ও ফোলা: পুরুষদের ক্ষেত্রে, হার্নিয়া অণ্ডকোষ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
- ভারি লাগা বা চাপ: কুঁচকিতে একটি ভারী বা চাপের অনুভূতি হতে পারে।
কারণ
- জন্মগত দুর্বলতা: কিছু মানুষ জন্মগতভাবেই পেশীর দুর্বলতা নিয়ে জন্মায়।
- বয়স: বয়সের সাথে সাথে পেশী এবং টিস্যু দুর্বল হয়ে যায়।
- শারীরিক পরিশ্রম: অতিরিক্ত বা কঠোর শারীরিক পরিশ্রম।
- দীর্ঘস্থায়ী কাশি: ঘন ঘন কাশির কারণেও পেশী দুর্বল হতে পারে।
চিকিৎসা
- অপারেশন: কুঁচকির হার্নিয়ার একমাত্র স্থায়ী সমাধান হলো অপারেশন।
- ইনগুইনাল হার্নিওপ্লাস্টি: এই পদ্ধতিতে একটি জাল প্যাচ ব্যবহার করে দুর্বল অংশটি ঠিক করা হয়।
- জরুরি চিকিৎসা: যদি ফোলা অংশটি লাল, বেগুনি বা কালো হয়ে যায় এবং রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়, তবে এটি একটি জরুরি অবস্থা এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন।